Friday, October 6, 2017

হতাশা কি?
মানুষের ব্যাক্তিগত জীবনে হতাশা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। হতাশা কি তা আমরা প্রত্যেকে জানি। নতুন করে একটা ওয়ার্ড ও আমরা সেখানে যুক্ত করতে পারি না। আমরা জানি একটা মুনুষ বিভিন্ন কারণে হতাশিত হয়। তবুয় অর্থবুধকভাবে বলতে গেলে-বিচ্ছেদ,ব্যার্থতা ক্লান্তহীনতা এই কয়েকটি কারণে মানুষের জীবনে হতাশা নেমে আসে। আবার অনেকে কোন একটা কঠিন কাজ করেতে না পারলে হতাশ হয়ে পড়ে। আশলে কিছু কিছু মানুষের জীবনটাই এমন যে, সে একবারেই সকল বিষয়ে সফল হতে চাই। ফলে তার জীবনে নেমে আসে নানা ধরণের অসান্তি ও ব্যার্থতা।
হতাশা কি?
কবিদের ভাষায় বলতে গেলে---ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল,
                    গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল
                    মুহূর্ত নিমেষ কাল, তুচ্ছ পরিমাণ,
                    গড়ে যুগ-যুগান্তর অনন্ত মহান
                    প্রত্যেক সামান্য ত্রুটি ুদ্র অপরাধ
                    ক্রমে টানে পাপ পথে, ঘটায় প্রমাদ
                    প্রতি করুণার দান, স্নেহপূর্ণ বাণী
                    এ ধরায় স্বর্গসুখ নিত্য দেয় আনি
                        Source--https://goo.gl/Yat9Vz
কবিতার মর্মার্থ থেকে আমরা যা বুঝতে পারি তা হল এক লাফে গাছে উঠা নয়। কিন্তু আমরা এই মর্মার্থ না মেনে এক লাফে গাছে উঠতে চাই। আসলে এই কথাটি অভ্যাসগত সথ্য।
আমি আমার জীবণের কথাই বলি-----
২০১৬ সালের ১ম দিকে আমি ইন্টানেটে আয় করা নিয়ে একটা বিজ্ঞাপন পাই। বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল যে, বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল যে, ইন্টারনেট থেকে আপনি যদি টাকা ইনকাম করতে চান তা হলে আমাদের এই কোর্চটি করার মাধ্যমে আপনি ২-৩ মাসের মধ্যে ঘরে বসে ২০,০০০টাকা -৩০,০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তাদের কথা শুনে আমিও প্রথমে চমকে যায়। চমকে গেলেও কি হবে আমি তাদের কথামতো কোর্চ করা শুরু করি।
একবার না পারলে দেখ শতবার কথাটি ভেবে বর্তমানেও কোণ ইনকামের মুখ দেখতে পারিনি।
আমি মনে করি এটি আমার ব্যার্থতা নয়…

সফলতা অর্জন করতে চাইলে আমাদেরকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে আর নয়তো আমাদের কোনদিন সফলতা আসবেনা।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের তথ্যে দেখা যায় যে পৃথিবীতে প্রায়  ১২৫  মিলিয়ন লোক হতাশাগ্রস্থ। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এদের সংখ্যা প্রায় ২০ মিলিয়ন। তাছাড়া অনেক শিশু গর্ভবতীরাও হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। প্রাদুর্ভাব ব্যাপকতার বিচারে হতাশাকে পাশ্চাত্য সভ্যতার common cold বলে আক্ষায়িত করা হয়েছে। সম্পর্কের কারণে মানুষ হতাশিত হয়ে যায়। মা-বাবার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক, এমনকি সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না হলে একটা পর্যায়ে গিয়ে হতাশায় ডুবে যান অনেকে।
হতাশার লক্ষণ:
মন ভাল না থাকাটাই প্রধান হতাশার লক্ষণ, কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা, ক্ষুদা ও ঘুম না হওয়া, ওজনের তারতম্য সৃষ্টি হওয়া প্রধান হতাশার লক্ষণ। এতে করে একটি মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
আমাদের জীবনের পরিবর্তনগুলোকে মেনে নিতে চেষ্টা করুন। শিশুদের হতাশা কাটাতে মা-বাবাকেই প্রধান ভুমিকা পালন করতে হবে। যেকোনো বিষয়ে তাদের অতিরিক্ত চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বয়ঃসন্ধিকালে সংকোচ না করে তাকে সঠিক তথ্যগুলো দিতে হবে। মনে হয়, কাজ করতে গিয়ে আপনি বেশি হতাশ হয়ে পড়ছেন, তাহলে ছুটি নিয়ে কোথাও থেকে ঘুরে আসতে পারেন।

কী কারণে আপনি হতাশিত, তা খুঁজে বের করুণ। অতি ধ্রুত সমস্যাটি সমাধান করতে চেষ্টা করুন।


*** সামাজিক সম্পর্কগুলো জোরদার হলে হতাশা কাটিয়ে ওঠা সহজ হয়।
*** পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান হতাশা দূরিভুত হবে। বই পড়ার অভ্যাস করুণ।
*** নিজের সুন্দর ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবতে শুরু করুণ দেখবেন হতাশ লাগবে না

0 comments:

Post a Comment

Today Pageviews

Follow me

Clock

আই পি থেকে লোকেশন

ip address

Popular Posts

Join Us

Blog Archive