Thursday, October 26, 2017

সেই ছোটবেলা থেকেই একজন শিক্ষকের স্পর্শে এসে আমরা শিক্ষালাভ করে থাকি। একজন ভাল শিক্ষকের কি কি গুণ থাকা দরকার আজ আমরা তা নিয়ে আলোচনা করব:
শিক্ষক মানে সম্মানের পাত্র উত্তম চরিত্রের অধিকারী একজন ব্যাক্তি যিনি সবসময় থাকবেন নিরপেক্ষ, অকুতোভয় এবং সত্যবাদী। সেই শিক্ষক অকুতোভয় মনের মাধুরি মিশিয়ে একজন ছাত্রের মন জয় করবেন।
Orbit computer-শিক্ষক ছাত্রের সম্পর্ক ও বর্তমান প্রেক্ষাপট পার্ট-2
যে শিক্ষক নিজস্ব চিন্তা চেতনা ব্যাক্তিত্ব ও মেধা বিকাশের মাধ্যমে নিজ মননশীলতার পরিচয় দিয়ে আধুনিক প্রযোক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান পরিচালনা করবেন। একজন শ্রেণী শিক্ষকের থাকতে হবে উদ্ভাবনের ক্ষমতা এবং নতুন নতুন কর্ম কাণ্ড দৃষ্টির নিরলস প্রচেষ্টা।একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা বিকাশের অনির্বার্য্ মাধ্যম।ধৈর্য্ হবে তার অন্যতম মতৎ গুণ।
একটি শ্রেণীর শ্রেণী কার্য্ পরিচালনার ক্ষেত্রে শুসৃঙ্কল ও প্রাণবন্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। একজন শ্রেণী শিক্ষক হলেন শ্রেণীর প্রাণ কেন্দ্র। ঐ শ্রেণী শিক্ষকের উপর নির্ভর করে শ্রেণীর সাফল্য ও ব্যার্থতা।
জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের যে প্রক্রিয়া একজন মানুষকে আলোকিত করতে পারে তাকে আমরা শিক্ষা হিসাবে অবিহিত করতে পারি। যে কোন বিষয় চর্চা বা অনুশীলনের মাধ্যমে একজন ব্যাক্তি জ্ঞান অর্জন করে এবং সেই জ্ঞান দ্বারা নিজে আলোকিত হয় এবং অন্যকে আলোকিত করে ও সমাজকে জ্যোতিময় করে তোলে তাকে আমরা শিক্ষা বলতে পারি।
যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানসিক উৎকর্ষ সাধন, মানুষের আচার আচরণ, মন-মানসিকতার উন্নয়ন ও বিকাশ ঘটায় আত্মার উন্নয়ন, দৃষ্টিভঙ্গির উপর সুদূরপ্রসারি পরিবর্তন ঘটায় সেই প্রক্রিয়াকে শিক্ষা বলে।
শিক্ষক হচ্ছে এসব প্রক্রিয়াকে যিনি উষ্কে দিয়ে মানুষকে এসব কাজে উৎসাহিত ও অনুপ্রেরণা দেয় সে ব্যাক্তি।
শিক্ষক বলতে  জ্ঞানী, বুদ্ধীদ্বীপ্ত ও পণ্ডীত ব্যাক্তিকে বুঝায়।
ইংরেজীতে TEACHER শব্দকে বিভিন্ন ভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। আমরা এখন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব….
১. T-   Trainer, Tutor, Tolerant, Trustworthy, Transparent:- (প্রশিক্ষক, গৃহশিক্ষক, সহনশীল, বিশ্বস্ত, স্বচ্ছ): একজন শিক্ষক কে দক্ষ প্রশিক্ষকের ভূমিকায় শ্রেণীকক্ষে অংশগ্রহণ করতে হবে। কেননা শিক্ষক যদি প্রশিক্ষকের ভূমিকায় শ্রেণেীকক্ষে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে অন্য একজন ছাত্র/ছাত্রিকে উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়াবে কি করে। একজন প্রশিক্ষকেই কাজের দক্ষতাই পারে একজন শিক্ষার্থীর মাঝে জ্ঞানের আলো বিতরণ করতে। তাই সকল শিক্ষক শিক্ষিকা মণ্ডলীকে উন্নতমানের ট্রেনিং প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নিজের মনোবল ও ক্যারিয়ার গঠন করতে হবে। তবেই একজন শিক্ষক শুদক্ষ প্রশিক্ষকের ভূমিকায় শ্রেণীকক্ষে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
২. E-   Efficient, Energizer, Excellence, Enlightened:- (দক্ষ, শক্তিবৃদ্ধি, এক্সিলেন্স, আলোকিত): একজন শিক্ষককে আমরা দ্ক্ষ মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবে আক্ষায়িত করে থাকি। শিক্ষক দক্ষ মনমানসিকতা নিয়ে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে একজন ছাত্র/ছাত্রীকে দক্ষতার সহিদ গড়ে তোলবেন এটাই সকলের প্রত্যাশা। শিক্ষককে হতে হবে দক্ষ বুদ্ধিবৃত্তিতে সমৃদ্ধ এবং আলোকিত জ্ঞানের অধিকারী।  
৩. A-Amiability, administer, Assist, Advisor, Accountability:-­(জবাবদিহিতা,প্রশাসক, সহায়তা, উপদেষ্টা, দায়বদ্ধতা):- ক্লাসে একজন ছাত্র/ছাত্রী সভাবতই দুষ্ট চরিত্রের অধিকারী হবেই। শ্রেণী কক্ষে ছাত্র/ছাত্রীদের জবাবদিহিতার বিধান রেখেই একজন শিক্ষককে ক্লাস পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্লাসের শুষ্ট পরিবেশ যেমন বজায় থাকবে অন্যদিকে ছাত্র/ছাত্রীরা শ্রেণীকক্ষে দুষ্টামি করার সুযোগ পাবে না। অন্য ক্ষেত্রে একজন শিক্ষককে ভুল ত্রুটির জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহিতার বিধানের ব্যবস্থা করতে হবে। তা হলেই শিক্ষার পরিবেশ ভাল হবে ও লেখাপড়ার উন্নতি সাধিত হবে।

৪. C-   Commitment, Civil, Civilized, Courtesy, Courteous, Charisma, Charming, Cooperation, Controlling Ability-( প্রতিশ্রুতি, নাগরিক, সভ্য, সৌজন্যে, সৌজন্যমূলক, কৃষ্টি, চুম্বক, সহযোগিতা, নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা):- একজন শিক্ষককে হতে হবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রেণীকক্ষে সকল প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেই তাকে ক্ষাস পরিচালনা করতে হবে। সৈজন্যমূলক আচরণের মাধ্যমে ক্লাসের সকল ছাত্র/ছাত্রীদের মন জয় করাই হবে তার একমাত্র লক্ষ। শিক্ষক হিসাবে সকল ছাত্র/ছাত্রীদেরকে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করতে হবে।
৫. H-   Honest, Humanity, Harmless, Heart:-( আন্তরিক, মানবতা, হারামহীন, হার্ট): সততাই হবে একজন শিক্ষকের প্রধান লক্ষ। সৎ গুণ, সৎ স্বভাব, সৎ মনমানসিকতাই হবে একজন শিক্ষকের মূল হাতিয়ার। সকল ছাত্র/ছাত্রীদেরকে মনমানসিকতার সহিদ মানবতা দ্বারা একই গণ্ডীর মধ্যে রেখে একই পদ প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসাবে তাকেই গড়ে তুলতে হবে।
৬. E-   Essence, Eagerness, Earnestness, Empower:-( সার্থকতা, উদ্যম, বিনয়, ক্ষমতায়ন):-সার্থকতা ও উদ্যাহীন কাজ কর্মের মাধ্যমে একজন শিক্ষককে তার চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে হবে। নিরলস ও আগ্রহের সহিদ কাজের মাধ্যমে তাকেই বুঝিয়ে দিতে হবে যে সে একজন প্রকৃত শিক্ষক।
৭.  R-   Research, Reliable, Resourceful, Respectful:-( গবেষণা, নির্ভরযোগ্য, সহানুভূতিশীল, সম্মানজনক):- যে কথাটি সর্বশেষ বলতে হয় তা হল গবেষণা। শ্রেণীকক্ষে প্রবেশের পূর্বে একজন শিক্ষককে অবশ্যই গবেশনার মাধ্যমে জেনে নিতে হবে যে, ক্লাসে তিনি কি শিক্ষা দিবেন। ক্লাসে প্রবেশের পূর্বে সে যদি গবেষণা না করেবা অধ্যায়ন না করে তা হলে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর সামান্য প্রশ্নে সে ভিত হয়ে পরবেন। তাই একজন শিক্ষককে আগামিকালকের ক্লাসে কি পড়াবেন না পড়াবেন তা আজকের দিনের মধ্যেই স্টাডি করে জেনে নিতে হবে।

এর বিপরীতে বলতে গেলে বলতে হয় একজন শিক্ষককে ক্লাস করার মনমানসিকতা নিয়ে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করতে হবে।
এথক্কন যা কিছু আলোচনা করলাম তা একজন শিক্ষকের মধ্যে তাকা বাঞ্চনিয়। আমরা আগামিতে একজন অভিভাবকের করণীয় কি তা নিয়ে আলোচনা করব।
আমাদের পূর্ববর্তী লেসনটি না পড়লে এই লেসনে আপনি কিছুই বুঝবেন না। অনুগ্রহ পুর্বক পূর্ববর্তী লেসন না পড়ে থাকলে এই লিংকে ক্লিক করূণ।




0 comments:

Post a Comment

Today Pageviews

Follow me

Clock

আই পি থেকে লোকেশন

ip address

Popular Posts

Join Us

Blog Archive