Wednesday, October 25, 2017

ছাত্র-শিক্ষক+অভিভাবক এই ত্রিমাত্রিক সম্পর্কের দৃড় বন্ধনের মাধ্যমে একজন ছাত্রের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব। অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মন মানসিকতার উপর ভিত্তি করে একজন ছাত্রের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ে উঠে।
আমরা সর্ব প্রথম একজন ছাত্র/ছাত্রীর দায়িত্ব কি তা নিয়ে আলোচনা করব।
ছাত্র ইংরেজিতে যাকে আমরা বলি STUDENT শব্দটির এ্যব্রিভিয়েশন হল-
Orbit Computer-শিক্ষক ছাত্রের সম্পর্ক ও বর্তমান প্রেক্ষাপট


১. S-‍Study-(অধ্যায়ন):-একজন ছাত্রের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে যা  
  পড়ে তা হল অধ্যায়ন করা। একজন ছাত্রের ছাত্র জীবনে অধ্যায়ন ব্যাতিত
  অন্য সকল কাজ কর্মকে না বলতে হবে। প্রয়োজন বসত অন্যান্য সকল
  কাজকর্মে সমান অংশিদার। যেহেতু সে ছাত্র তার চলাফেরা আচার আচরণ
  সবকিছু ছাত্রের মত হতে হবে।



২. T-Truthfull-(সত্যবাদী): মিথ্যা বলা মতাপাপ এই প্রতিপাদ্যটি সামনে রেখে একজন ছাত্রকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সত্য মনোবল নিয়ে তাকে সবসময় কাজ করতে হবে। ক্লাসে ও চলাফেরার সময় সে কখনো মিত্যা বলতে পারবে না।


৩. U-Unity-(একতা): একতাবব্ধহয়ে চলাফেরা করা ছাত্রদের আর একটি মহৎ গুণ। যে ছাত্রের মধ্যে একতাবদ্ধতা নেই সে ছাত্র কখনো উন্নত জীবন যাপনে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। উন্নতি লাভের সিঁড়ির মধ্যে একতাই প্রধান। একটা সমাজকে/দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে হলে একতাবদ্ধ হয়ে ছাত্র সমাজকে কাজ করতে হবে। একতাবদ্ধতা ছাড়া একটা সুন্দর সু-শৃঙ্কল সমাজ গঠণ কখনোই সম্ভব নয়। একতার প্রতিচ্ছবি হচ্ছে সুন্দর সু-সৃঙ্কল শিক্ষা লাভের মুল হাতিয়ার। একটা উদাহরণ দিলে আপনারা খুব ভাল করেই বুঝতে পারবেন। একটা পিঁপড়া যখন একটা ভাতকে টেনে নিয়ে যেতে চাই তখন সে একা অক্ষম হয়ে পড়ে সে ভাতকে টানার জন্য। কিন্তু লক্ষনীয় যে, কয়েকশ পিঁপড়া যখন ভাতটিকে টানতে শুরু করে তখন ভাতটি তাদের কাছে ভাসন্ত ফোলার চেয়ে হালকা হয়ে যায় আর সে পিঁপড়া অনায়াসে ভাতটিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। তাই সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সমাজের জন্য একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে।

৪. D-Disciplines-(নিয়মানুবর্তিতা): আমাদের সমাজ নিয়ম নীতির উপর প্রতিষ্টিত। প্রকৃতী থেকে শুরু করে সমাজের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে রয়েছে নানা ধরণের নিয়ম সৃঙ্খলা। এসব সৃঙ্খলার উরপ ভিত্তি করে একজন ছাত্রকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হয়। নিয়মের বিপরীতে চলাফেরা করলে আমাদের সমাজ জীবন দূর্বিসহ হয়ে পড়ে। নিয়ম মেনে সৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করাটাই হচ্ছে নিয়মানুবর্তিতা। এই সৃঙ্খলার উপর ভিত্ত করে সমাজ থেকে নানা ধরণের অন্যায় অবিচার দূরিভূত হয়। সমাজ জীবনকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালি করার ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তিতার কোন বিকল্প নেই। সমাজ জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রিয় জীবনে বসবাসকারি প্রতিটি নাগরিক এই নিয়ম মেনে বসবাস করলে সমাজ বা রাষ্ট্রের সুশাসন বজায় থাকে।


৫. E-Energetic-(অনলস/উদ্যামি) : অনলস পরিশ্রম ও কাজের মাধ্যমে একজন ছাত্রের ভবিষ্যৎ নি্র্বর করে। আজকের পড়া যদি আগামিকালের জন্য ফেলে রাখি পরীক্ষায় কখনো ভাল সুফল আশা করা যায় না। কেননা অধ্যায়নের উপর একজন ছাত্র/ছাত্রীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। যে ছাত্র/ছাত্রী অনলস পরিশ্রমে করে সে ছাত্র/ছাত্রীর ভবিষ্যৎ অবশ্যয় ভাল হবে। তাই ছাত্র/ছাত্রীকে অনলস পরিশ্রমের মাধ্যমে চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌছাতে হবে।



৬.N-Neat and clean (পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন): পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ।একজন ছাত্র/ছাত্রীকে অবশ্যই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে চলাফেরা করতে হবে। এগুলো তা নৗতিক গুণের মধ্যে একটি। ঘরবাড়ি, রাস্থাঘাট, অফিস-আদালত, স্কুল, বাজারঘাট কলেজ সবকিছু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা অতিব জরুরি। এব্যাপারে আপাময় জনতার পাশাপাশি একজন ছাত্র/ছাত্রীকেও এগিয়ে আসতে হবে। আপনার আমার ও ছাত্র/ছাত্রীদের সর্বাত্বক প্রচেষ্টায় পারে আমাদের এলাকাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে।
আমরা ছাত্র/ছাত্রীরা উদ্যুগি হয়ে নিকটস্থ আসপাসের এলাকাটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে বিভিন্ন প্রকার রোগ জিবাণু থেকে পরিত্রাণ পায়।
তাই আমাদের সকল ছাত্র/ছাত্রীদেরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভিযানে এগিয়ে আসতে হবে।



৭.T-Tendency-(ঝোঁক/প্রবণতা) : একজন ছাত্র/ছাত্রীকে ঝোঁক/ প্রবণতার উপর বসবর্তি হয়ে অহেতুক কোন খারাপ কাজে অংশগ্রহণ করা চলবেনা। ছাত্র/ ছাত্রীদের মধ্যে ঝোঁক প্রবণতার হার বেশি। বুদ্ধিবৃত্তির উপর ভিত্তি করে একজন ছাত্র/ছাত্রিকে ঝোঁক প্রবণতার হার অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে। না বুঝে কোন কাজে হাত দেওয়া চলবেনা।

পরবর্তিতে একজন ভাল শিক্ষকদের গুণাবলি এবং অভিভাবকের মতভেদ নিয়ে আলোচনা করব। সেই মূহূর্ত পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।
ধন্যবাদ
মোহাম্মদ হোসেন




0 comments:

Post a Comment

Today Pageviews

Follow me

Clock

আই পি থেকে লোকেশন

ip address

Popular Posts

Join Us

Blog Archive