Monday, October 30, 2017

প্রতিটা পিতা-মাতায় ই চাই তার ছেলে মেয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। ভদ্র সমাজে বসবাস করবে। ভদ্র লোকদের সাথে মিশে ভাল ব্যবহার করবে। কিন্তু প্রতিটা পিতা মাতা মানে এক একজন অভিভাবক নয়। আর একটা কথা বলতে গেলে প্রতিটা অভিভাবক মানে পিতা মাতা নয়।
একজন পিতা বা মাতা যত উচ্চ ডিগ্রিধারী হোক না কেন সে একজন অভিভাবক হতে পারে না।কারণ অভিভাবকের দায়িত্ব টা খুব কঠিন একটা বড় কাজ। সবাই এই দায়িত্ব টা যথাযতভাবে পালন করতে পারে না। ছেলে ও মেয়ে বেড়ে উঠার পেছনে অভিভাবকের বৃহত অবদান রয়েছে।

 অভিভাবকের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালণের মাধ্যমে একজন মানুষ হতে পারে পার্থিব জগতের প্রশংসার পাত্র।
Orbit computer-শিক্ষক ছাত্রের সম্পর্ক ও বর্তমান প্রেক্ষাপট শেষ পার্ট. অভিভাবকের কর্তব্য।
পক্ষান্তরে এ দায়িত্বে কেউ যদি অবহেলা করে সে হবে উভয় জাহানের কুলাঙ্গার। অর্থাদ সে ইহকাল ও পরকাল উভয় হারাবে।সে একটি পরিবার, সমাজ বা একটি রাট্রের হলেও তার কোন নিস্থান নেই।আল্লাহপাক কোরআনুল কারিমের বহু আয়াতে অভিভাবকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সৃষ্টিজগতের মানব সম্পর্কে বিভিন্ন প্রঙ্গাপন জারি করেছেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন
আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেন’ [সুরা নিসা:১১]
 
হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর যার ইন্ধন হবে মানুষ পাথর’ [সুরা ইবরাহিম: আয়াত.]

এছাড়া হযরত মোহাম্মদ (স:) তার বিভিন্ন হাদিস দ্বারা অভিভাবকদের দাযিত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবিহিত করেছেন।

যেমন-তিনি বলেন….গৃহকর্তা তার পরিবার-পরিজনের  রক্ষণাবেক্ষণকারী সে তার অধিনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে মহিলা তার স্বামীর ঘরের রক্ষাকত্রী সে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে [বুখারি-মুসলিম]

সন্তানকে একটি আদব শিক্ষা দেয়া একসাপরিমাণ সদকা করা অপেক্ষা উত্তম [তিরমিযি]
আল্লাহ তাআলা তাঁর রাসুল সা. এর দেওয়া এই অর্পিত দায়িত্ব পালনে সকল অভিভাবকেই সচেতন  হওয়া উচিত
একজন অভিভাবত কে যথাযতভাবে দায়িত্ব পালণের পাশাপাশি নিম্নের দায়িত্বগুলো অবশ্যই পালণ করতে হবে-----

. চারিত্রিক  দায়িত্ব
                          ২. ঈমানি  দায়িত্ব  
. অনুশীলনের দায়িত্ব
                          ৪. জ্ঞাণী দায়িত্ব
. সামাজিকতার  দায়িত্ব


. চারিত্রিক  দায়িত্ব: সন্তানের চরিত্র গঠনে অভিভাবক কে সচেতন হতে হবে কেননা সন্তান বেড়ে উঠার আগ মূহুর্তে অভিভাবক কে অবশ্যই  সন্তানের উপর নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। সন্তান কোন দিকে যাচ্ছে ও কার সাথে মিসছে সৎ বন্ধু নির্বাচন করেছে কি না সবদিকে খেয়াল রেখে তাকে পরিচালনা করতে হবে। কেননা এই সময় যদি খারাপ ও দুষ্ট প্রকৃতির লোকদের সোথে চলাফেরা করে তার স্বভাব চরিত্র তাদের ন্যায় হবে।
...........................................................

শিক্ষক ছাত্রের সম্পর্ক ও বর্তমান প্রেক্ষাপট পার্ট-1

শিক্ষক ছাত্রের সম্পর্ক ও বর্তমান প্রেক্ষাপট পার্ট-2

.........................................................................................................................

. ঈমানি  দায়িত্ব ; সন্তান যখন ৭-৮ বছরে পদার্পণ করবে ঠিক তখন থেকে তাকে নামাজ/প্রার্থনার জন্য বলতে হবে। পিতা মাতা যদি কাছে থাকে তাদের সাথে তাকে নামাজ শেখাতে হবে। সমাজের ভাল শ্রেণীর মানুষের দিকে আকৃষ্ট করে তাকে অনুপ্রাণীত করতে হবে। স্কুল বা মাদ্রাসায় তাকে ভর্তি করে দিতে হবে।

. অনুশীলনের দায়িত্ব: সন্তানকে সবসময় গালিগালাজ করা যাবে না। সময় অনুপাতে তাকে খেলাদুলার প্রতি অনুপ্রাণীত করতে হবে। খেলা শরীর ও মন উভয় ভাল রাখে। অনুশীলনের উপর নির্ভর করে তাকে বেড়ে উঠতে হবে। কেননা সন্তান যে বিষয়ে অনুশীলনে রাজি হয় সে বিষয়ের প্রতি তাকে উৎসাহ প্রধান করতে হবে। কেননা এই উৎসাহের উপর ভিত্তি করে তার ক্যারিয়ার গড়ে উঠবে।

. জ্ঞাণী দায়িত্ব: ইসলামি জ্ঞান দান দ্বারা তাকে পরিপূর্ণ আত্বশুদ্ধির দিকে ধাবিত করতে হবে। বিভিন্ন সামাজিক জ্ঞান দান দ্বারা তাকে পরিপূর্ণ ইসলামিক ভঙ্গিতে গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বই, ইসলামিক বই, ইসলামিক কালচার ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাকে অভিহিত করতে হবে। আখলাক ও চরিত্র যখন গড়ে উঠবে ঈমান তখন ফলপ্রসু হবে। কেননা ইসলামিক জ্ঞান একজন মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ধাবিত করে।


. সামাজিকতার  দায়িত্ব: সামাজিকতা শিক্ষা  সমুন্নত জ্ঞান, সামাজিক আদব শিষ্টাচারে  অভ্যস্ত করে গড়ে তোলা  দ্বারা ইসলামী আকীদার উপর বিশ্বাস ঈমানী চেতনারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে যাতে করে এই সন্তানই আদব কায়দা শিষ্টাচারে জ্ঞানে-গুণে, চাল-চলনে, বেশ-ভূষণে মোট কথা সার্বিক দিক দিয়ে সমাজের একজন আদর্শ মানুষ হিসাবে গণ্য হতে পারে এই বিষয়ে একজন অভিভাবক কে সচেতন হতে হবে।ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক,  রাজনৈতিক, মোটকথা যে কোন ক্ষেত্রে যে কোন পরিস্থিতিতে  যে বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বের দাবিদার তা হল আখলাক চরিত্র আত্মিক গুণাবলি।  এক্ষেত্রে একজন অভিভাবক কে নজরদারির মাধ্যমে সর্বাদিক পরিদর্শন করতে হবে।

Thursday, October 26, 2017

সেই ছোটবেলা থেকেই একজন শিক্ষকের স্পর্শে এসে আমরা শিক্ষালাভ করে থাকি। একজন ভাল শিক্ষকের কি কি গুণ থাকা দরকার আজ আমরা তা নিয়ে আলোচনা করব:
শিক্ষক মানে সম্মানের পাত্র উত্তম চরিত্রের অধিকারী একজন ব্যাক্তি যিনি সবসময় থাকবেন নিরপেক্ষ, অকুতোভয় এবং সত্যবাদী। সেই শিক্ষক অকুতোভয় মনের মাধুরি মিশিয়ে একজন ছাত্রের মন জয় করবেন।
Orbit computer-শিক্ষক ছাত্রের সম্পর্ক ও বর্তমান প্রেক্ষাপট পার্ট-2
যে শিক্ষক নিজস্ব চিন্তা চেতনা ব্যাক্তিত্ব ও মেধা বিকাশের মাধ্যমে নিজ মননশীলতার পরিচয় দিয়ে আধুনিক প্রযোক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান পরিচালনা করবেন। একজন শ্রেণী শিক্ষকের থাকতে হবে উদ্ভাবনের ক্ষমতা এবং নতুন নতুন কর্ম কাণ্ড দৃষ্টির নিরলস প্রচেষ্টা।একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা বিকাশের অনির্বার্য্ মাধ্যম।ধৈর্য্ হবে তার অন্যতম মতৎ গুণ।
একটি শ্রেণীর শ্রেণী কার্য্ পরিচালনার ক্ষেত্রে শুসৃঙ্কল ও প্রাণবন্ত ভূমিকা পালন করতে হবে। একজন শ্রেণী শিক্ষক হলেন শ্রেণীর প্রাণ কেন্দ্র। ঐ শ্রেণী শিক্ষকের উপর নির্ভর করে শ্রেণীর সাফল্য ও ব্যার্থতা।
জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের যে প্রক্রিয়া একজন মানুষকে আলোকিত করতে পারে তাকে আমরা শিক্ষা হিসাবে অবিহিত করতে পারি। যে কোন বিষয় চর্চা বা অনুশীলনের মাধ্যমে একজন ব্যাক্তি জ্ঞান অর্জন করে এবং সেই জ্ঞান দ্বারা নিজে আলোকিত হয় এবং অন্যকে আলোকিত করে ও সমাজকে জ্যোতিময় করে তোলে তাকে আমরা শিক্ষা বলতে পারি।
যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানসিক উৎকর্ষ সাধন, মানুষের আচার আচরণ, মন-মানসিকতার উন্নয়ন ও বিকাশ ঘটায় আত্মার উন্নয়ন, দৃষ্টিভঙ্গির উপর সুদূরপ্রসারি পরিবর্তন ঘটায় সেই প্রক্রিয়াকে শিক্ষা বলে।
শিক্ষক হচ্ছে এসব প্রক্রিয়াকে যিনি উষ্কে দিয়ে মানুষকে এসব কাজে উৎসাহিত ও অনুপ্রেরণা দেয় সে ব্যাক্তি।
শিক্ষক বলতে  জ্ঞানী, বুদ্ধীদ্বীপ্ত ও পণ্ডীত ব্যাক্তিকে বুঝায়।
ইংরেজীতে TEACHER শব্দকে বিভিন্ন ভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। আমরা এখন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব….
১. T-   Trainer, Tutor, Tolerant, Trustworthy, Transparent:- (প্রশিক্ষক, গৃহশিক্ষক, সহনশীল, বিশ্বস্ত, স্বচ্ছ): একজন শিক্ষক কে দক্ষ প্রশিক্ষকের ভূমিকায় শ্রেণীকক্ষে অংশগ্রহণ করতে হবে। কেননা শিক্ষক যদি প্রশিক্ষকের ভূমিকায় শ্রেণেীকক্ষে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে অন্য একজন ছাত্র/ছাত্রিকে উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়াবে কি করে। একজন প্রশিক্ষকেই কাজের দক্ষতাই পারে একজন শিক্ষার্থীর মাঝে জ্ঞানের আলো বিতরণ করতে। তাই সকল শিক্ষক শিক্ষিকা মণ্ডলীকে উন্নতমানের ট্রেনিং প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নিজের মনোবল ও ক্যারিয়ার গঠন করতে হবে। তবেই একজন শিক্ষক শুদক্ষ প্রশিক্ষকের ভূমিকায় শ্রেণীকক্ষে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
২. E-   Efficient, Energizer, Excellence, Enlightened:- (দক্ষ, শক্তিবৃদ্ধি, এক্সিলেন্স, আলোকিত): একজন শিক্ষককে আমরা দ্ক্ষ মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবে আক্ষায়িত করে থাকি। শিক্ষক দক্ষ মনমানসিকতা নিয়ে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে একজন ছাত্র/ছাত্রীকে দক্ষতার সহিদ গড়ে তোলবেন এটাই সকলের প্রত্যাশা। শিক্ষককে হতে হবে দক্ষ বুদ্ধিবৃত্তিতে সমৃদ্ধ এবং আলোকিত জ্ঞানের অধিকারী।  
৩. A-Amiability, administer, Assist, Advisor, Accountability:-­(জবাবদিহিতা,প্রশাসক, সহায়তা, উপদেষ্টা, দায়বদ্ধতা):- ক্লাসে একজন ছাত্র/ছাত্রী সভাবতই দুষ্ট চরিত্রের অধিকারী হবেই। শ্রেণী কক্ষে ছাত্র/ছাত্রীদের জবাবদিহিতার বিধান রেখেই একজন শিক্ষককে ক্লাস পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্লাসের শুষ্ট পরিবেশ যেমন বজায় থাকবে অন্যদিকে ছাত্র/ছাত্রীরা শ্রেণীকক্ষে দুষ্টামি করার সুযোগ পাবে না। অন্য ক্ষেত্রে একজন শিক্ষককে ভুল ত্রুটির জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহিতার বিধানের ব্যবস্থা করতে হবে। তা হলেই শিক্ষার পরিবেশ ভাল হবে ও লেখাপড়ার উন্নতি সাধিত হবে।

৪. C-   Commitment, Civil, Civilized, Courtesy, Courteous, Charisma, Charming, Cooperation, Controlling Ability-( প্রতিশ্রুতি, নাগরিক, সভ্য, সৌজন্যে, সৌজন্যমূলক, কৃষ্টি, চুম্বক, সহযোগিতা, নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা):- একজন শিক্ষককে হতে হবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রেণীকক্ষে সকল প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেই তাকে ক্ষাস পরিচালনা করতে হবে। সৈজন্যমূলক আচরণের মাধ্যমে ক্লাসের সকল ছাত্র/ছাত্রীদের মন জয় করাই হবে তার একমাত্র লক্ষ। শিক্ষক হিসাবে সকল ছাত্র/ছাত্রীদেরকে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করতে হবে।
৫. H-   Honest, Humanity, Harmless, Heart:-( আন্তরিক, মানবতা, হারামহীন, হার্ট): সততাই হবে একজন শিক্ষকের প্রধান লক্ষ। সৎ গুণ, সৎ স্বভাব, সৎ মনমানসিকতাই হবে একজন শিক্ষকের মূল হাতিয়ার। সকল ছাত্র/ছাত্রীদেরকে মনমানসিকতার সহিদ মানবতা দ্বারা একই গণ্ডীর মধ্যে রেখে একই পদ প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসাবে তাকেই গড়ে তুলতে হবে।
৬. E-   Essence, Eagerness, Earnestness, Empower:-( সার্থকতা, উদ্যম, বিনয়, ক্ষমতায়ন):-সার্থকতা ও উদ্যাহীন কাজ কর্মের মাধ্যমে একজন শিক্ষককে তার চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে হবে। নিরলস ও আগ্রহের সহিদ কাজের মাধ্যমে তাকেই বুঝিয়ে দিতে হবে যে সে একজন প্রকৃত শিক্ষক।
৭.  R-   Research, Reliable, Resourceful, Respectful:-( গবেষণা, নির্ভরযোগ্য, সহানুভূতিশীল, সম্মানজনক):- যে কথাটি সর্বশেষ বলতে হয় তা হল গবেষণা। শ্রেণীকক্ষে প্রবেশের পূর্বে একজন শিক্ষককে অবশ্যই গবেশনার মাধ্যমে জেনে নিতে হবে যে, ক্লাসে তিনি কি শিক্ষা দিবেন। ক্লাসে প্রবেশের পূর্বে সে যদি গবেষণা না করেবা অধ্যায়ন না করে তা হলে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর সামান্য প্রশ্নে সে ভিত হয়ে পরবেন। তাই একজন শিক্ষককে আগামিকালকের ক্লাসে কি পড়াবেন না পড়াবেন তা আজকের দিনের মধ্যেই স্টাডি করে জেনে নিতে হবে।

এর বিপরীতে বলতে গেলে বলতে হয় একজন শিক্ষককে ক্লাস করার মনমানসিকতা নিয়ে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করতে হবে।
এথক্কন যা কিছু আলোচনা করলাম তা একজন শিক্ষকের মধ্যে তাকা বাঞ্চনিয়। আমরা আগামিতে একজন অভিভাবকের করণীয় কি তা নিয়ে আলোচনা করব।
আমাদের পূর্ববর্তী লেসনটি না পড়লে এই লেসনে আপনি কিছুই বুঝবেন না। অনুগ্রহ পুর্বক পূর্ববর্তী লেসন না পড়ে থাকলে এই লিংকে ক্লিক করূণ।




Wednesday, October 25, 2017

ছাত্র-শিক্ষক+অভিভাবক এই ত্রিমাত্রিক সম্পর্কের দৃড় বন্ধনের মাধ্যমে একজন ছাত্রের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব। অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মন মানসিকতার উপর ভিত্তি করে একজন ছাত্রের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ে উঠে।
আমরা সর্ব প্রথম একজন ছাত্র/ছাত্রীর দায়িত্ব কি তা নিয়ে আলোচনা করব।
ছাত্র ইংরেজিতে যাকে আমরা বলি STUDENT শব্দটির এ্যব্রিভিয়েশন হল-
Orbit Computer-শিক্ষক ছাত্রের সম্পর্ক ও বর্তমান প্রেক্ষাপট


১. S-‍Study-(অধ্যায়ন):-একজন ছাত্রের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে যা  
  পড়ে তা হল অধ্যায়ন করা। একজন ছাত্রের ছাত্র জীবনে অধ্যায়ন ব্যাতিত
  অন্য সকল কাজ কর্মকে না বলতে হবে। প্রয়োজন বসত অন্যান্য সকল
  কাজকর্মে সমান অংশিদার। যেহেতু সে ছাত্র তার চলাফেরা আচার আচরণ
  সবকিছু ছাত্রের মত হতে হবে।



২. T-Truthfull-(সত্যবাদী): মিথ্যা বলা মতাপাপ এই প্রতিপাদ্যটি সামনে রেখে একজন ছাত্রকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সত্য মনোবল নিয়ে তাকে সবসময় কাজ করতে হবে। ক্লাসে ও চলাফেরার সময় সে কখনো মিত্যা বলতে পারবে না।


৩. U-Unity-(একতা): একতাবব্ধহয়ে চলাফেরা করা ছাত্রদের আর একটি মহৎ গুণ। যে ছাত্রের মধ্যে একতাবদ্ধতা নেই সে ছাত্র কখনো উন্নত জীবন যাপনে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। উন্নতি লাভের সিঁড়ির মধ্যে একতাই প্রধান। একটা সমাজকে/দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে হলে একতাবদ্ধ হয়ে ছাত্র সমাজকে কাজ করতে হবে। একতাবদ্ধতা ছাড়া একটা সুন্দর সু-শৃঙ্কল সমাজ গঠণ কখনোই সম্ভব নয়। একতার প্রতিচ্ছবি হচ্ছে সুন্দর সু-সৃঙ্কল শিক্ষা লাভের মুল হাতিয়ার। একটা উদাহরণ দিলে আপনারা খুব ভাল করেই বুঝতে পারবেন। একটা পিঁপড়া যখন একটা ভাতকে টেনে নিয়ে যেতে চাই তখন সে একা অক্ষম হয়ে পড়ে সে ভাতকে টানার জন্য। কিন্তু লক্ষনীয় যে, কয়েকশ পিঁপড়া যখন ভাতটিকে টানতে শুরু করে তখন ভাতটি তাদের কাছে ভাসন্ত ফোলার চেয়ে হালকা হয়ে যায় আর সে পিঁপড়া অনায়াসে ভাতটিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে। তাই সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সমাজের জন্য একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে।

৪. D-Disciplines-(নিয়মানুবর্তিতা): আমাদের সমাজ নিয়ম নীতির উপর প্রতিষ্টিত। প্রকৃতী থেকে শুরু করে সমাজের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে রয়েছে নানা ধরণের নিয়ম সৃঙ্খলা। এসব সৃঙ্খলার উরপ ভিত্তি করে একজন ছাত্রকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হয়। নিয়মের বিপরীতে চলাফেরা করলে আমাদের সমাজ জীবন দূর্বিসহ হয়ে পড়ে। নিয়ম মেনে সৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করাটাই হচ্ছে নিয়মানুবর্তিতা। এই সৃঙ্খলার উপর ভিত্ত করে সমাজ থেকে নানা ধরণের অন্যায় অবিচার দূরিভূত হয়। সমাজ জীবনকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালি করার ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তিতার কোন বিকল্প নেই। সমাজ জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রিয় জীবনে বসবাসকারি প্রতিটি নাগরিক এই নিয়ম মেনে বসবাস করলে সমাজ বা রাষ্ট্রের সুশাসন বজায় থাকে।


৫. E-Energetic-(অনলস/উদ্যামি) : অনলস পরিশ্রম ও কাজের মাধ্যমে একজন ছাত্রের ভবিষ্যৎ নি্র্বর করে। আজকের পড়া যদি আগামিকালের জন্য ফেলে রাখি পরীক্ষায় কখনো ভাল সুফল আশা করা যায় না। কেননা অধ্যায়নের উপর একজন ছাত্র/ছাত্রীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। যে ছাত্র/ছাত্রী অনলস পরিশ্রমে করে সে ছাত্র/ছাত্রীর ভবিষ্যৎ অবশ্যয় ভাল হবে। তাই ছাত্র/ছাত্রীকে অনলস পরিশ্রমের মাধ্যমে চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌছাতে হবে।



৬.N-Neat and clean (পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন): পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ।একজন ছাত্র/ছাত্রীকে অবশ্যই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে চলাফেরা করতে হবে। এগুলো তা নৗতিক গুণের মধ্যে একটি। ঘরবাড়ি, রাস্থাঘাট, অফিস-আদালত, স্কুল, বাজারঘাট কলেজ সবকিছু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা অতিব জরুরি। এব্যাপারে আপাময় জনতার পাশাপাশি একজন ছাত্র/ছাত্রীকেও এগিয়ে আসতে হবে। আপনার আমার ও ছাত্র/ছাত্রীদের সর্বাত্বক প্রচেষ্টায় পারে আমাদের এলাকাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে।
আমরা ছাত্র/ছাত্রীরা উদ্যুগি হয়ে নিকটস্থ আসপাসের এলাকাটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে বিভিন্ন প্রকার রোগ জিবাণু থেকে পরিত্রাণ পায়।
তাই আমাদের সকল ছাত্র/ছাত্রীদেরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভিযানে এগিয়ে আসতে হবে।



৭.T-Tendency-(ঝোঁক/প্রবণতা) : একজন ছাত্র/ছাত্রীকে ঝোঁক/ প্রবণতার উপর বসবর্তি হয়ে অহেতুক কোন খারাপ কাজে অংশগ্রহণ করা চলবেনা। ছাত্র/ ছাত্রীদের মধ্যে ঝোঁক প্রবণতার হার বেশি। বুদ্ধিবৃত্তির উপর ভিত্তি করে একজন ছাত্র/ছাত্রিকে ঝোঁক প্রবণতার হার অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে। না বুঝে কোন কাজে হাত দেওয়া চলবেনা।

পরবর্তিতে একজন ভাল শিক্ষকদের গুণাবলি এবং অভিভাবকের মতভেদ নিয়ে আলোচনা করব। সেই মূহূর্ত পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।
ধন্যবাদ
মোহাম্মদ হোসেন




Wednesday, October 18, 2017

ভেজাল কথাটা শুনলেই আমাদের গাঁ যেন শিউরে উঠে। কি আজব দুনিয়া। সারা দুনিয়াতেই ভেজাল আর ভেজাল। সুশাসন, প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের অভাবে আমাদের দেশীয় বাজারে ভেজাল খাদ্য বিক্রয়ের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের দেশের জনগণ বিশুদ্ধ খাদ্য খাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
ভেজাল খাদ্য সম্পর্কে সাবধান! Computer Orbit

শাকসবজি, মাছ-মাংস এমনকি খাবার পানি থেকে শুরু করে প্রভৃতি উপাদানের সাথে মিশানু হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক। এত করে ক্রেতা সাধারণ নিরুপায় হয়ে এক প্রকার ভেজাল খাদ্য খেতেই হচ্ছে। সাম্প্রতিক কালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এ(টিআইবি)এর এক প্রতিবেদনে খাদ্য ভেজালের ভয়াবহতার চিত্র ফুটে উঠেছে। ঘুষ, অনিয়ম ও দূর্ণিতী খাদ্য ভেজালের ভয়াববহতার জন্য দায়ী।
--------------------------------------
আমাদের অন্যান্য পোষ্ট দেখার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুণ:

---------------------------------------------------------------------------------------------------

খাদ্যে ভেজাল একজন নাগরিকের প্রধান সমস্যরূপে চিহ্নিত হয়েছে। খাদ্যে ভেজাল পাওয়া যায় না এমন খাদ্য খুজে পাওয়া দুষ্কর। দীর্ঘদিন ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশের জনগণ নানা ধরণের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের  তথ্যানুযায়ী দেশে ডায়াবেটিস, আলসার, অপুষ্টি, আর্সেনিক, চর্ম কুষ্ঠরোগে মৃত্যুহারও ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে এসব ভেজাল খাদ্যের কারণে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে মাছে মেশানু হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ফরমালিন। বাজারে গেলেই মনে হয় এই মাত্র মাছ মেরে নদীর তীরে এসেছে জেলেরা। অথচ এসব ফরমালিনযুক্ত খাবারগুলো খেয়ে প্রতিনিয়ত দেশের জনগণ বিবিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

ভোক্তা সাধারণের চোখে ফাকি দিয়ে এক ধরণের অসাধু ব্যবসায়িরা কিভাবে খাদ্যে ভেজাল মেশানো যায় সেদিকে বেশি নজর রাখছেন। জমি থেকে ফসল তোলা থেকে শুরু করে খাদ্যে প্রক্রিয়াজাতকরণের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত খাদ্যে মেশানো হচ্ছে ভেজাল। খাদ্য তালিকা অনুযাযী বিভিন্ন খরণের খাদ্যে বিভিন্ন ধরণের ভেজাল মেশানো হচ্ছে যা চোখে ধরা পড়ার মতো নয়। এক মূহুর্তের জন্যও বুঝা যাবে না যে খাদ্যে ভেজাল মেশানো হয়েছে।
প্রকাশ্যেই শুটকি আরতে মেশুনো হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর কীটনাশক।শাক-সবজিতে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর কেমিক্যাল।

ভেজাল খাবার থাকবেনা কেন? আমরা প্রতিনিয়ত হাটাচলার পথে রাস্থার পাশে পড়ে
থাকা যেসব ফুকফাত দেখতে সেগুলো অনেকাংশে শহরের বড় নামি দামি রেস্টুরেন্ট

থেকে অনেক ভাল ও স্বাস্থ্যকর মনে হলেও বড় বড় রেস্টুরেন্টকে হার মানিয়ে তারা এক হাতে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। ফলে এসব নোংরা খাবার খেয়ে খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে স্কুলগামি পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা। ফলে তারা বিভিন্ন ধরণের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে দিনের পর দিন।


দেশ যখন তথ্য প্রযোক্তির দিকে এগিয়ে যায়, এগিয়ে যেতে থাকে দেশের উপর লেভেল থেকে শুরু করে নিন্মলেভেলের সকল কর্মকাণ্ড। এর সাথে সাথে পাল্টে যেতে থাকে চলন, বলন, ধরণ ও সকল ধরণের রীতি নীতি। এর সাথে পাল্টে যায় মানুষের সকল অভিব্যাক্তি।
computer orbit

তথ্য প্রযোক্তি আমাদের ভাবধারাকে এমন অভিব্যাক্তির মধ্যে উপস্থাপন করেছে যে, আমাদের ভাবধারা আমরা নিজেরাই তৈরি করতে পারি।

কম্পিউটারকে খারাপ কাজে ব্যবহারের কারণে আমাদের যুব সমাজ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ভেজাল খাবার যেমন করে আমাদেরকে গ্রাস করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় পর্নো ছবিও তার ব্যাতিক্রম নয়। পারিবারিক হতাশা আর বেশি মাত্রায় পর্নো ছবি দেখার কারণে নপুংসক হয়ে যাচ্ছে অল্প বয়সি কিশোর কিশোরিরা।
 ভারতের একটা জরিপে দেখা যায় যে, শতকরা ২২ শতাংশ কিশোর কিশোরি যৌবন ক্ষমতা হারাচ্ছে এই পর্নো ছবি দেখার কারণে।
---------------------------------------
নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমরা কি করতে পারি

শিক্ষক ছাত্রের সম্পর্ক ও বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানুন

ভেজাল খাদ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আমাদের ভূমিকা কি?
------------------------------------------------------------------------------------------------------


তাই একদিকে আমাদেরকে ভেজাল খাবার যেমন পরিহার করতে হবে অন্যদিকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে পর্নো ছবির আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মানের জন্য সকলকে ভেজাল খাদ্য নিরুপণ ও পর্নো ছবির আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে।

Tuesday, October 17, 2017

আমাদের যুব সমাজ আজ তথ্য প্রযোক্তির ধারাবাহিকতা থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। আমরা তো স্বপ্ন দেখেছিলাম অথৈনৈতিকভাবে সার্বভৌম বাংলাদেশের। সেই সঙ্গে স্বপ্ন দেখেছিলাম অর্থনৈতিক মুক্তির। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা আমাদের আছে ধরা দিলেও অথৈনৈতিক মুক্তি আমাদের এখনো মিলেনি।অভিজ্ঞাতা বিকাশের পাশাপাশি শু-শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া আমাদের জন্য খুবই জরুরি। তাই আমাদেরকে সর্ব প্রথম অভিজ্ঞতা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে।


বিভিন্ন বইয়ের উক্তিতে আমরা পাই যে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। আজকের লেখালেখিতে আপনাদের বলব যে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় না বরং ব্যাক্তিত্বের প্রকাশ না ঘটিয়ে শুধু শুধু ইচ্ছা নিয়ে আমরা দিনরাত ঘুরাঘুরি করি ইচ্ছার বিকাশ কখনোই ঘটবেনা। জ্ঞান ছাড়া ইচ্ছা নিয়ে ঘুরাঘুরি করলে আমাদের বিকাশ কি করে ঘটবে। আমাদের শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি পেশাদারিত্ব অর্জন করতে হবে। মন মানসিকতা বৃদ্ধি করতে হবে। কারণে আমাদের দেশকে যদি আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই আমাদের অনেক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হতে পারে।


একজন মানুষকে ব্যাক্তিত্ব প্রকাশের জন্য অবশ্যই জ্ঞানি হতে হবে। জ্ঞানি হওয়ার মূল উপাদানই শিক্ষা। জ্ঞান হচ্ছে ব্যাক্তিত্বের মূল ও প্রথম বর্হিপ্রকাশ। একজন মানুষের ব্যাক্তিত্বকে সুন্দর করতে হলে আপনাকে অবশ্যই জ্ঞানের বর্হিপ্রকাশ ঘটাতে হবে। আপনি একজন জ্ঞানি ব্যাক্তি তা শুধু আপনি নিজে জানেন অন্য কেউ জানে না, এমন জ্ঞানী আমাদের দেশে হাজার হাজার রয়েছে। আপনার মতো এমন জ্ঞানী লোক দিয়ে আমাদের দেশ কিছুই করতে পারবেনা। কেননা আপনার জ্ঞানের বর্হিপ্রকাশ না ঘটলে আপনি যে জ্ঞানি লোক তা আমাদের দেশের লোক জানবে কি করে।


কম্পিউটার আমাদের জ্ঞানের দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে। বিশ্বকে আমরা হাতের মোঠোয় গণনা করতে পারছি। আমাদের জ্ঞানের দ্বার উন্মোচন করার একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে এই কম্পিউটার।কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা বর্হিবিশ্বের খবরাখবর এক মূহুর্তেই সংগ্রহ করতে পারি। বিশ্বের কোথায় কি হচ্ছে না হচ্ছে তা আমরা এক মুহুর্তেই জানতে পারি।


আমাদের ব্যাক্তিত্ব প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম হিসাবে আমরা কম্পিউটারকেই বেছে নিতে পারি। আসুন আমরা আমাদের ব্যাক্তিত্বকে জনগণের সামনে উন্মোচিত করি। আমাদের নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করি ও আমাদের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।



কম্পিউটার শিক্ষার কোন বিকল্প নেই আপনি চাইলে দেশের যে কোন প্রান্তে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারেন। আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন।

Monday, October 9, 2017

শিক্ষক শব্দের অর্থ হচ্ছে সম্মানের গুরু। যাকে আমরা শিক্ষাগুরু হিসাকে অবিহিত করে থাকি।আমরা সকলে তাকে সম্মান করি ও মেনে চলি। আমাদের ছোটবেলা থেকে শুরু করে স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ ও ইউনিভার্সিটি লেভেলে তার গুণগাণের কথা আমরা বলে শেষ করেতে পারবনা। স্কুলে থাকা অবস্থায় তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কত অজানা কাহিনি কত মনোমুগ্ধকর ও হাস্যকর কৌতুক এবং কতইনা রঙ্গরসের পুতিমাল্য।
Orbit computer--ছাত্র- শিক্ষকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?

তিনি ছিলেন আমাদের কাছে অতিব বন্ধুপরায়ন একজন সহজ সরল ব্যাক্তি। তার চিন্তাধারা সবকিছুই ছিল আমাদের নিয়ে। আমরা যদি কিছু না বুঝে থাকি তা হলে তিনি আমাদের পরম যত্ন সহকারে তা বুঝিয়ে দিতেন। শৈষবের দিনগুলো কতইনা আনন্দমুখর ছিল তা আমরা কাওকে বলে বুঝাতে পারবনা।
ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কটা বলতে গেলে বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের চিন্তা, গবেষনা ও পর্যবেক্ষণের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে কারণ একজন শিক্ষকের উপর নির্ভর করে সমস্থ জাতির ভবিষ্যৎ।
একজন শিক্ষকের উপর নির্ভর করে ক্লসরুম মেনেজসেন্টের সমস্থ দ্বায়ীত্বভার। এতে করে শিক্ষক যদি একটুখানি অবহেলায় পর্যবসিত হয় সমস্থ ক্লাসরুম অনিয়মে আচ্ছাদিত থাকবে। শিক্ষা  বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ তৈরি করা, শিক্ষাজীবনের ওপর গভীর ইমপ্রেশন সৃষ্টি  করা ইত্যাদি একজন সু-দক্ষ শিক্ষকের উপর নির্ভর করে

দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণ গবেষণার মাধ্যমে একজন সিনিয়র শিক্ষক অর্জন করতে  পারে তার জীবনের অভিজ্ঞতা এবং তিনিই বলতে পারেন কোন পরিস্থিতিতে, কোন ধরনের শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের কিরুপ আচরণ  ও ব্যবহার করতে হবে

যিনি যানেন কোন ধরণের কোণ লেভেলের শিক্ষার্থীদের সাথে কোণ ধরণের আচরণ করতে হবে তিনি প্রকৃতপক্ষে একজন সুদক্ষ শিক্ষক।

দেশের পরিচিত উন্নত ও আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করে সেখানকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাই একটু দুষ্ট প্রকৃতির ডানপিটে স্বভাবের হয়ে থাকে নতুন কোন শিক্ষককে তারা কাছে পেলেই উত্যক্ত করে এবং দুষ্ট প্রকৃতির মনোভাব ব্যাক্ত করে।তারা ঐ শিক্ষককে বিভিন্ন ধরণের ছদ্মনামে ডাকাডাকি শুরু করে এবং শীস দিয়ে ক্লাসরুমের আইনসৃঙ্কলা লঙ্গণ করার চেষ্টা করে।এসব বিষয়গুলোর মোকাবেলা করার জন্য একজন শিক্ষককে কঠোর পরিশ্রম করে ক্লাসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়।এক্ষেত্রে একটা ক্লাসে নতুন শিক্ষক অবতরণ করে ক্লাসে টিকে থাকা তার পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

একজন মার্কিন ব্যক্তি বলেছেনশিক্ষা হলো একজন নিবেদিত শিক্ষক, একজন অনুপ্রাণিত ছাত্র এবং একজন উদ্যমী অভিভাবকের মিলিত প্রতিশ্রুতি এক্ষেত্রে একজন অভিভাবক যদি একজন শিক্ষককে সম্মান না দেয় তা হলে তার ছেলে বা মেয়ে শিক্ষককে কখনোই সম্মান করবেনা। তিনজনের মিলিত আত্বপ্রচেষ্টা ও স্বাসন বারণ এবং আদর সোহাগের মাধ্যমে একজন ছাত্র বা ছাত্রী তার জীবনের কাঙ্কিত লক্ষে পৌছাতে পারবে।

ছাত্র-শিক্ষক এবং অভিভাবক এই তিনজনের মিলিত প্রতিশ্রুতি যদি সঠিক দিকে ধাবিত না  হয় তখন একজন ছাত্র সফল হতে পারবে না অন্যদিকে এই মিলিত প্রতিশ্রুতির যদি সঠিক দিকে ধাবিত হয় তবে এই তিনজনের মধ্যে  ইন্টারঅ্যাকশন বা মিথস্ক্রিয়া সৃষ্টি হবে ছাত্র শিক্ষকের মধ্যে যদি কার্যকরী ইন্টারঅ্যাকশন না হয়, তা হলে ছাত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে




Today Pageviews

Follow me

Clock

আই পি থেকে লোকেশন

ip address

Popular Posts

Join Us

Blog Archive