কিছু কিছু লোক
আছে যারা কর্মনীতির উপর নির্ভর করে। আবার কিছু লোক আছে যারা ধর্মনীতির উপর নির্ভর করে।
কর্ম ও ধর্ম নীতি আমার মূল কথা নয়। আমার মূল কথা নিজের ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে।
আমাদের নিজেদের
ভাগ্য পরিবর্তীত হয় কর্মনীতি দিয়ে। কারণ আমরা কর্মের উপর নির্ভরশীল।
Orbit computer-নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। |
আমাদের চলাফেরা
নিয়ম নীতি সবকিছু আমাদের কর্মের ফল।ছোটবেলা থেকে আমরা যে পরিবেশে বড় হই না কেন কর্মনীতি
আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌছে দেয়।
পৃথিবীতে কম বেশি
মানুষই আধিপত্য ও টাকা পয়সার মালিক হয়। কিন্ত এই আধিপত্য ও টাকা কড়ি সে বেশিদিন টিকিয়ে
রাখতে পারে না কারণ সে ব্যাক্তি ঐ আধিপত্য ও টাকা কড়ির মূল্য অনুধাবন করতে পারে না।
সে অনায়াসে ও হেলেদুলে নিজের জীবন অতিবাহিত করতে চাই।
অর্থ আর অর্থ
থাকেনা যখন এই অর্থই লালসাতে পরিণত হয়।
অধিকন্তু মানুষ
চিন্তা করে যে, আমাকে সফল হতে হলে নতুন করে অভ্যাস ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এই কথাটা
সম্পূর্ণ মিথ্যা কারণ জীবনের মাঝপথে এসে নতুন করে কোন কিছু শুরু করা যায় না। জীবনের
মাঝপথে এসে যদি আমরা চিন্তা করি আমরা কি করে আসলাম বা আমাদের গন্তব্য কোথায়। এই প্রশ্নটি
যদি আমাদের নিজের বিবেক কে করি তা হলে আমাদের বিবেকই আমাদের বলে দিবে যে, আমাদের এখন
কি করা উচিত।
জীবনের শুরুতে
আমাদের কয়েকটি বিষয় চিন্তা ভাবনা করে এগিয়ে চলা উচিত। তা হল…………..
১. সিদ্ধান্ত
২. অজুহাত.
৩. ভয়কে জয় করা.
৪. মন মানসিকতা.
৫. নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা.
৬. নির্ভেজাল
হওয়া.
৭. দৃড়চেতা.
১. সিদ্ধান্ত:
আমরা যখন ছোটবেলা থেকে একটু একটু বুঝতে শিখি তখন আমাদের মনে নানান ধরণের চিন্তা চেতনা
জন্ম নেয়। এই জাগ্রত হওয়া চিন্তা চেতনা থেকে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আমি ভবিষ্যতে
কি করব বা আমার গন্তব্য কি। এই জাগ্রত হওয়া চিন্তাধারাকে আমরা কিন্তু কাজে লাগাতে পারি
না। কারণ এক্ষেত্রে দেখা যায় যে, অধিকন্তু ফেমেলিতে নিজেদের ছেলে মেয়ের সিদ্ধান্তের
কোন গুরুত্ব দেয় না তার মা বা। এক্ষেত্রে অভিভাবক কে দৃড়চিত্রের সাথে ছেলে-মেয়ের এই
বিষয়টি নিয়ে চিন্তাধারা করা উচিত। কারণ তার চিন্তাধারার উপর নির্ভর করে তার ভবিষ্যত
গড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে যদি গড়িমসি হয় অকালেই ছেলে বা মেয়েটি কোন রকম মন
মানসিকতা ছাড়াই অন্যান্য সকল কাজ ব্যার্থতাই পরিণত হবে।তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে
আমাদেরকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের নির্ধারিত গন্তব্যে।
২. অজুহাত : পৃথিবীর
মধ্যে মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু হল অজুহাত।এই অজুহাতের কারণেই আমাদের দেশের অধিকন্তু
মানুষ উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করতে পারেনা। আমারে দেশের মানুষ কোন একটা ভাল কাজ করতে
গেলেই নানান ধরণের অজুহাত দেখাই। আমরা কোন ধরণের অজুহাত না দেখিয়ে আমাদের নির্ধারিত
গন্তব্যে যদি এগিয়ে যায় সফলতা আমাদের হাতের কাছে এসে ধরা দেবে। তাই আমাদের প্রত্যেক
কে কোন ধরণের অজুহাত না দেখিয়ে নির্ধারিত গন্তব্যে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
আরও জানুন----- শিক্ষক ছাত্রের সম্পর্ক ও বর্তমান প্রেক্ষাপট শেষ পার্ট. অভিভাবকের কর্তব্য সম্পর্কে।
আরও জানুন----- শিক্ষক ছাত্রের সম্পর্ক ও বর্তমান প্রেক্ষাপট শেষ পার্ট. অভিভাবকের কর্তব্য সম্পর্কে।
৩. ভয়কে জয় করা:
ভয়কে জয় করার মনমানসিকতা না থাকলে জীবনে উন্নতি করা সম্ভব নয়। কবির ভাষায়--- যেখানে
দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই
পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন।
এই উক্তিটি সামনে
রেখে আমাদের নির্ধারিত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। অনেকেই প্রশ্ন করা থেকে দূরে
থাকে লজ্জা পাওয়ার ভয়ে। এই লজ্জা পাওয়ার ভয় আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে তা হলেই আমরা সফলকাম
হব।
৪. মন মানসিকতা:
জীবনে সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে বাধা বিগ্রহ থাকবেই এটাই স্বাভাবিক।মন মানসিকতা ভেঙ্গে
পড়লে এসব বাধা বিগ্রহ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না। এই সময় আমাদের মনের উপর জুর খাটিয়ে
হলেও বিপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। নয়তো আমাদের জীবনের উন্নতি
সম্ভব নয়।
৫. নিয়ন্ত্রণের
চেষ্টা: আমাদের হাত আছে ২টা। আমরা যদি আমাদের এই হাতকে ৪দিকে দেওয়ার চেষ্টা করি তা
হবে না। কারণ এই হাতগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রেণের বাইরে চলে যাবে। আপনি যা নিয়ন্ত্রণ করতে
পারবেন না তা নিয়ে জোর যবরদস্থি করা নিরর্থক। তাই সবকিছু একা নিয়ন্ত্রণ না করে অপরজনকে
হস্থক্ষেপ করা উচিত।
৬. নির্ভেজাল
হওয়া : কোন রকম চিন্তা ভাবনা করার আগে আমাদেরকে অবশ্যই নির্ভেজাল চিন্তা ভাবনা করতে
হবে। কেননা ভেজালের পৃথিবীতে আমাদের চিন্তা ভাবনা যদি নির্ভেজাল হয় আমাদের উপর সকলে
আস্থা থাকবে। ফলে আমাদের উন্নতিতে আর কোন বাধা বিপত্তি আসবেনা। আমরা উন্নতির চরম শিখরে
আরোহন করতে পারব।
৭. দৃড়চেতা: বিপদ
আমাদের সামনে আসবেই। দৃড়চিত্রের সাথে আমরা যদি বিপদের মোকাবেলা না করি তা হলে আমাদের
উন্নতি সম্ভব নয়।বিপদ দেখে যদি আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকি বিপদ আমাদেরকে তাড়া করবেই।
তাই আমাদেরকে দৃড়চিত্রের সাথে সেই বিপদের মোকাবেলা করতে হবে।
0 comments:
Post a Comment